পুলিশ ও র্যাবের অবৈধ নিষ্ঠুর আচরণ চিহ্নিত করতে একটি স্থায়ী টাস্কফোর্স গঠনের কেন নির্দেশ দেয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি রাষ্ট্রযন্ত্র বিশেষ করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর জনগণের আস্থা সৃষ্টি করতে মানবাধিকার বিরোধী আইন গঠন প্রশ্নেও রুল জারি করেছেন। বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতি এ রিট আবেদন করে।
এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে বৃহস্পতিবার বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ রুল জারি করেন। স্বরাষ্ট্র সচিব, পুলিশ মহাপরিদর্শক, ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনারসহ পাঁচ বিবাদীকে চার সপ্তাহের মধ্যে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
একইসঙ্গে সংবিধানের ৩১, ৩৬, ৩৭, ৩৮ ও ৩৯ অনুচ্ছেদে প্রদত্ত অধিকারের প্রয়োগ করতে পারেন সে লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার চুক্তি ও অঙ্গীকার অনুযায়ী আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর জন্য একটি গাইডলাইন তৈরি করার নির্দেশ কেন দেয়া হবে না তাও জানতে চাওয়া হয়েছে।
বর্ষবরণ উৎসবে নারীর শ্লীলতাহানির প্রতিবাদে ছাত্র ইউনিয়নের একটি কর্মসূচিতে পুলিশের লাঠিপেটাকে কেন্দ্র করে জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতির নির্বাহী পরিচালক সালমা আলী বাদী হয়ে এ রিট করেন। রিটের পক্ষে শুনানি করেন কমিশনের সদস্য অ্যাডভোকেট ফাওজিয়া করিম ফিরোজ এবং রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আমাতুল করিম স্বপ্না।
গত ১৪ এপ্রিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যৌন হয়রানিতে জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবিতে গত ১০ মে ডিএমপি কমিশনারের কার্যালয় ঘেরাওয়ে গিয়েছিল ছাত্র ইউনিয়ন। সেখানে এক নারী কর্মীকে পুলিশ চুলের মুঠি ধরে রাস্তায় ফেলে মারধরের চিত্র বিভিন্ন গণমাধ্যমে এসেছে।
Leave a Reply